Main » 2012 মার্চ 7 » সংবাদ
11.13.05 AM সংবাদ | |
ইসরাইলের ইরান আগ্রাসন অত্যাসন্ন!
তাহলে কি ইরানে সত্যি সত্যি সামরিক হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল! তাদের সামপ্রতিক কথাবার্তা তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে। তারা বলছে, ইরানে হামলা চালাতে যুক্তরাষ্ট্রকে পর্যন্ত জানাবে না। সর্বশেষ ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে বৈঠকের পর ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরানের ব্যাপারে আত্মসংবরণ কোন বিকল্প হতে পারে না। ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিশ্ব আর চুপ করে বসে থাকতে পারে না। তিনি বলেন, ইরানের পরমাণু অস্ত্র উন্নয়ন আমরা রোধ করতে বদ্ধপরিকর। ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে। তার এ কথায় সায় দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তিনি বলেছেন, ইসরাইলের নিরাপত্তার জন্য আমেরিকায়র বজ্রকঠিন সমর্থন আছে। আমরা সব সময়ই ইসরাইলের পাশে থাকবো। এসব বক্তব্যের পর চারদিকে গুঞ্জন উঠেছে ইরানে যে কোন সময় হামলা চালাতে পারে ইসরাইল। এরই প্রেক্ষিতে পাকিস্তান সতর্কতা উচ্চারণ করেছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রব্বানি খার বলেছেন, ইরানে পারমাণবিক ইস্যুতে যে কোন আগ্রাসন চালানো হলে তা পুরো অঞ্চলের জন্য মহাদুর্যোগময় পরিণতি বয়ে আনবে। এ অঞ্চলে কোন সামরিক হস্তক্ষেপে পাকিস্তান সমর্থন দেবে না। কারণ এ অঞ্চল আর একটি আগ্রাসন মোকাবিলার সামর্থ্য রাখে না। বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানায়, ওয়াশিংটনে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এরপর তারা দু’জনে মিলে এক সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন। সেখানে দু’নেতা ইরান হামলার সম্ভাব্যতার কথা তুলে ধরেন। তবে এক্ষেত্রে কূটনৈতিক পন্থা এখনও খোলা আছে বলে জানান তারা। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইল একত্রে আছে। অর্থাৎ ইরান হামলার ব্যাপারে তারা একমত এমনটা বোঝালেও তারা পরিষ্কার করে বলেননি ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক হামলার রেডলাইন বা চূড়ান্ত সময়সীমা কোনটি। মধ্যপ্রাচ্যে দখলদার রাষ্ট্র ইসরাইল তার প্রতিবেশী আরব দেশগুলোর সঙ্গে চির বৈরিতার মধ্যেই টিকে আছে। ইসরাইল তার জন্মলগ্ন থেকেই আরবদের সঙ্গে এক অসম ও অন্যায় শক্তির লড়াইয়ে লিপ্ত। তাদের দখলদারিত্বের কারণে এ পর্যন্ত ৩টি ভয়াবহ যুদ্ধও হয়েছে। এগুলো ইতিহাসে আরব-ইসরাইল যুদ্ধ নামে পরিচিত। ইসরাইলের বৈরিতা আশির দশক পর্যন্ত কেবল আরবদের সঙ্গেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু ১৯৭৯ সালের ১১ই ফেব্রুয়ারি ইরানে ইসলামিক বিপ্লব সংঘটিত হলে ইসরাইলের শত্রুর তালিকায় ইরানের নামটিও অন্তর্ভুক্ত হয়। দিনে দিনে ইরান যতই শক্তি অর্জন করতে থাকে ইসরাইলের সঙ্গে তার বৈরিতা ততই বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে ইরান পারমাণবিক কর্মসূচি শুরু করলে এই বৈরিতা মনস্তাত্ত্বিক কলহ ছাপিয়ে প্রকাশ্য লড়াইয়ে রূপ নেয়। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে ইসরাইল তাদের অস্তিত্বের প্রতি হুমকি মনে করে। ইসরাইল এতদিন বিশ্বের পরাশক্তিগুলোকে দিয়ে ইরানের এই কর্মসূচি প্রতিহত করার চেষ্টা করলেও ভিতরে ভিতরে সামরিক প্রস্তুতি নিতে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর সহায়তা পেয়ে ইসরাইল এই অঞ্চলের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশে পরিণত হয়। এদিকে ইরানও তার আনবিক কর্মসূচির বিশাল অগ্রগতির ঘোষণা দেয়। ফলে ইসরাইল কোন রকম রাখ-ঢাক ছাড়াই যে কোন মূল্যে তা প্রতিহত করার সংকল্প ব্যক্ত করে এবং ইরানে সামরিক হস্তক্ষেপ করতে নানরকম পাঁয়তারা করতে থাকে। এ ব্যাপারে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটেন ইসরাইলের ক্রীড়নকের ভূমিকা পালন করে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি এখন চরমে পৌঁছেছে। যে কোন সময় ইরানে আক্রমণ করে বসতে পারে ইসরাইল। তাই বিশ্ববাসীর নজর এখন সেই দিকে।
| |
|
Total comments: 0 | |